January 25, 2025, 7:07 am

বিজ্ঞপ্তি :::
Welcome To Our Website...
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের অভিনন্দন আকাশ চৌধুরী সম্পাদিত ‘বিজয় চিরন্তন’বেরিয়েছে ওসমানী হাসপাতালের নার্স আছমা আলহারামাইন থেকে বহিস্কার দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবে ব্যারিষ্টার এম এ সালামের মতবিনিময় সুনামগঞ্জের গামাইরতলা সীমান্তে ভুয়া পুলিশ সহযোগী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাঁচাতে জনগনের কাছে তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে সঠিক ধারনা দিতে হবে: সিলেটে তথ্য সচিব সিলেটের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক শামীম “”বিদায় বেলায় ফুলেল শুভেচ্ছা সংবর্ধনা আর ভালোবাসা সিক্ত যিনি সাংবাদিক চঞ্চল মাহমুদ ফুললের সুস্থতা কামনায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া মাহফিল শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পুরস্কার পেলেন দক্ষ সংগঠক ও অভিনয়শিল্পী কামাল জৈন্তাপুরে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
লুঙ্গি পরে অফিস করেন জেলা রেজিস্ট্রার গোপালগঞ্জে

লুঙ্গি পরে অফিস করেন জেলা রেজিস্ট্রার গোপালগঞ্জে

জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের বিশ্বাসযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা রেজিষ্ট্রার হিসাবে গাজী আবু হানিফ গোপালগঞ্জে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তার দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রকাশ্যে রুপ নেয়। জেলা পাঁচটি উপজেলার পাঁচটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে প্রতিমাসে তিনি প্রায় এক লক্ষ টাকা মাসোহারা নেন। এছাড়া দলিল প্রতি এক’শ টাকা করে কমিশন গ্রহন করেন। প্রতিমাসে জেলায় গড়ে প্রায় ৫-৭ হাজার দলিল সম্পাদন হয়। দলিল থেকে কমিশন বাবদ প্রতি মাসে তিনি প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা আদায় করেন। অফিস পরিদর্শনের নামে উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে গেলে তাকে সম্মানী হিসাবে ন্যুনতম এক লক্ষ না দিলে তিনি ক্ষুদ্ধ হন এবং ফাঁক ফোকড় সৃষ্টি করে ওই কর্মকর্তাকে শায়েস্তা করতে নানা ভাবে হয়রানি করে থাকেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন সাব-রেজিষ্ট্রার অভিযোগ করে বলেন, জেলা রেজিষ্ট্রার সাহেব অফিসের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে ফেলেছেন। উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস পরিদর্শনের সময় তিনি বহিরগত লোকজন নিয়ে অফিসে আসেন। ওই সব বহিরাগতদের দিয়ে তিনি সাব-রেজিষ্ট্রাদের সাথে ঘুষের দেন দরবার করান। জেলা রেজিস্ট্রার পদটি একটি জেলার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বশীল পদ হলেও তিনি সব সময় লুঙ্গি পরে অফিস করেন। সাব রেজিস্ট্রারদের নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভা করার কথা থাকলেও তিনি তা না করে অফিসার ও কর্মচারীদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি করেন। ফলে অফিসে এখন আর কাজের পরিবেশ নেই।
ভুক্তভোগী জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোহন বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, গত মাসে তিনি সাব-রেজিস্ট্রি একটি দানপত্র রেজিস্ট্রেশনের জন্য যান। কিন্তু তিনি দানপত্র দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে ওই অফিসের সাব-রেজিষ্ট্রার শাহ আব্দুল আরিফের সাথে কথা বললে তিনি জানান, জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে আমরা দান পত্র দলিল রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করে দিয়েছি। দানপত্র দলিল বৈধ হলেও সঙ্গত কারনে আপাতত আমরা তা করতে পারছি না।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার গাজী আবু হানিফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি অল্প কয়েক দিন হলো জেলা রেজিস্ট্রার হিসাবে যোগদান করেছি। সব কিছু সত্য নয়। তিনি বার বার রিপোর্টি প্রকাশ না করতে প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।


Comments are closed.




© All rights reserved © sylheteralo24.com
sylheteralo24.com